বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে তৌফিকুল রহমানঃ তারিখ ০৬/০৭/২০২০ যখন করোনা ভয়াল থাবায় সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কিন্তু অনাবাসিক জবির সকল শিক্ষার্থীর প্রতি মাসের মেসের ভাড়ার দায়িত্ব যেটা বিভিন্ন কোচিং বা টিউশনের ফিস দিয়ে পরিশোধ করতো তা এড়ানো যাচ্ছে না যদিও সব কোচিং বা টিউশন বন্ধ। আর এই শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্বের সময় জবির ছাএ কল্যাণ সমিতির পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল বাকী(পিএইচডি) জবি’র পক্ষ থেকে সকল মেস বা বাসা মালিকের নিকট শিক্ষার্থীদের সাথে মানবিক আচারণের আবেদন করে চিঠি মাধ্যমে।
উক্ত চিঠির খণ্ডাংশ, করোনা দুর্যোগের কারণে দেশব্যাপী মানুষের জীবন-জীবিকার উপর মানবিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবন-জীবিকা ব্যতিক্রম নয়। সর্ম্পুণ অনাবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আপনাদের মেসে বা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। আর এই আবাসন সুবিধা প্রদানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞ চিওে স্মরণ করছে। জবির সকল শিক্ষার্থী কোচিং বা টিউশনের মাধ্যমে আয় যা দ্বারা মেসের বেতন বা সকল খরচ পরিচালনা করতো। গত ১৭/০৩/২০২০ তারিখ থেকে করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়, সকল কোচিং এবং টিউশন সেবা বন্ধ থাকায় সকল আয় বন্ধ হয়ে যায়। এমত অবস্থায় তাদের মেস ভাড়া পরিশোধ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা খোজ নিয়ে জেনেছি তাদের এই ভাড়া প্রদান করার সক্ষমতা নেই, উপরন্তু অনেক শিক্ষার্থীদের পরিবারের ব্যয় পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করতে হয়েছে।কিন্তু এই সহায়তা তাদের অসহায়ত্বের তুলনায় অপ্রতুল। অনেকের চার পাঁচ মাসের ভাড়া অপরিশোধিত আছে কিন্তু তাদের পরিশোধের সামর্থ নেই।
উপযুক্ত পরিস্থিতিতে বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধ্যমত বাড়ি ভাড়া মওকুফ করে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply